আজ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। সুপার ফোর পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে- পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেট এবং শ্রীলঙ্কার কাছে ২১ রানে হেরে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের ফাইনালের দৌঁড় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরও ফাইনালে খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। তখন অন্যান্য দলের ফলাফল এবং নেট রান রেট অনুকূলে থাকা প্রয়োজন ছিল তাদের। কিন্তু শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে ভারতের ৪১ রানের জয়ে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় ঘন্টা বাজে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ভারতের। এতে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি অঘোষিত সেমিফাইনালে রুপ নেয়।
এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের সঙ্গে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলে লঙ্কানরা। এদিকে ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় আজকের ম্যাচটি ভারতের কাছে নিয়মরক্ষার লড়াই। স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে দলের মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখে বেঞ্চের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাইবে ভারত।
অন্যদিকে, ফাইনালে উঠতে না পারলেও খালি হাতে দেশে ফিরতে চাইছে না বাংলাদেশ। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে ভারত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিকল্পনা করায় জয়ের একটা সুযোগ থাকতে পারে বাংলাদেশের সামনে। এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলে শিরোপা জয়ের জন্য অন্যতম হট ফেভারিট ভারত।
কিন্তু দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ দ্বিপাক্ষীক সিরিজে ঘরের মাঠে ভারতকে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে এটা ছিল ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের টানা দ্বিতীয় সিরিজ জয়। হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছাড়া দেশের বাইরে ভারতকে কখনওই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের মঞ্চেও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচের দেখায় মাত্র ১টিতে জয় ও ১৩টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় রচিত হয়েছিল।